শরীয়তপুরের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।
তাছাড়া আদালত তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
সাজাপ্রাপ্ত নূরুল আমিন শেখের বাড়ি জেলার জাজিরা উপজেলার হারুন টুনি কান্দি গ্রামে।
মামলার পর থেকেই নূরুল আমিন শেখ পলাতক রয়েছেন।
আদালতের পিপি মির্জা হযরত আলী মামলার নথির বরাতে জানান, জেলা শিবচর উপজেলার হাজি মোজাফ্ফর ইউসুফ ঢালী কান্দি গ্রামের বাদশা হাওলাদারের মেয়ে রেশমা আক্তার সঙ্গে শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার হারুন টুনি কান্দি গ্রামের হাসেম শেখের ছেলে নূরুল আমিন শেখের ২০১৬ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্বামী নূরুল আমিন শেখ তার স্ত্রী রেশমাকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। তার দরিদ্র পরিবার যৌতুকে টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ২০১৭ সালের ২ জুলাই গলায় ওড়না পেঁচিয়ে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় তাকে হত্যা করে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান নূরুল।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই ইয়ার হোসেন হাওলাদার বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ৩ জুলই জাজিরা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
সাক্ষ্য-প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে এই সাজা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পিপি মির্জা হযরত আলী।