একই কারণে ওই মন্দিরে ১২ বছর ধরে পূজা বন্ধ রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সদর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহরিয়ার রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ ভাতগাঁও গ্রামের এ মন্দিরের জন্য এই আদেশ জারি করা হয়।
আউলিয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জমিদার বর্ধামনি চৌধুরাণী প্রায় ১০০ বছর আগে এই মন্দির নির্মাণ করেন। তিনি মন্দির পরিচালনার জন্য ৮১ একর সম্পত্তি দান করেন। এরপর মন্দিরের আয়-ব্যয় নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়।
“পরে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) মন্দিরটি পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। তখন থেকে আধিপত্য নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ইসকনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এই বিরোধকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মন্দিরে দুর্গাপূজা নিয়ে দুই পক্ষের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সে সময় ইসকনভক্তদের হামলায় মন্দিরের সেবায়েত ফুলবাবু নিহত হন। সেই থেকে ওই মন্দিরে দুর্গাপূজার সময় স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করে আসছে।”