তাড়াশে ৩ কিলোমিটার রাস্তায় দুর্ভোগ, উন্নয়ন নেই ‘এক যুগ’

সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী অধ্যুষিত ৫ গ্রামবাসীর যাতায়াতের একমাত্র মাটির রাস্তায় প্রায় এক যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Oct 2021, 10:56 AM
Updated : 11 Oct 2021, 10:56 AM

সড়ক পাকা না করায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এ রাস্তায় চলাচলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন উপজেলার দেশিগ্রাম ইউনিয়নের ক্ষীরশীন, শিলংদহ, গুড়মা, গুড়পিপুল ও আড়ংগাইল গ্রামের মানুষ।

ক্ষীরশীন গ্রামের হরেন্দ্রনাথ মাতাতো বলেন, প্রায় এক যুগ আগে তাড়াশ উপজেলায় কর্মরত একটি এনজিও ওই গ্রামীণ রাস্তায় মাটি ভরাট করেছিল। এরপর উপজেলা এলজিইডি অফিস ওই রাস্তা পাকাকরণের কথা থাকলেও এক যুগ পেরিয়ে গেলেও তারা কোন উদ্যোগ নেয়নি।

বর্তমানে রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে এলাকার হাজারো মানুষ ও শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন বলে জানান তিনি।

গুড়মা গ্রামের কৃষক চান্দু প্রামাণিক বলেন, রাস্তাটি দিয়ে কোন যানবাহন না চলায় পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে হয়। অথচ ওই রাস্তা দিয়ে ক্ষীরশীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিলংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থী যাতায়াত করে থাকে। মহাশশ্মান ও মসজিদে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাও এটি।

“এছাড়া কৃষকরাও মাঠের ফসল ঘরে তুলতে এবং উৎপাদিত শস্য এ রাস্তা দিয়েই হাট-বাজারে বিক্রির জন্য আনা নেওয়া করেন। রাস্তাটি পাকা করা হলে এলাকার মানুষের কষ্ট অনেকটাই লাগব হবে।”

শিলংদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান বলেন, অল্প একটু বৃষ্টি হলেই ওই রাস্তায় পানি জমে কাদায় জমে যায়। পিচ্ছিল রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে স্কুলের ছেলেমেয়েরা অনেক সময় পড়ে গিয়ে বই-খাতা ও জামা কাপড় নষ্ট করে ফেলে। রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলেও নিয়মিত আসে না।

দেশিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ওই মাটির (কাঁচা) রাস্তাটি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী অধ্যুষিত পাঁচ গ্রামের জনগণের যাতায়াতের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। রাস্তাটি পাকা করা অত্যন্ত জরুরি।

এ বিষয়ে তাড়াশ উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবু সায়েদ জানান, গুড়মা থেকে ক্ষীরশীন গ্রাম পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার মাটির রাস্তার ৪৫০ মিটার পাকাকরণের টেন্ডার হয়েছে।দ্রুত কাজ শুরু হবে। বাকি রাস্তার পাকাকরনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সেটি পাশ হলে পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন রাস্তা পাকাকরণ করা সম্ভব হবে।”