শরীয়তপুরে হামলায় আ. লীগ নেতাসহ আহত ১০, আটক চার

শরীয়তপুরে একটি হত্যা মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে ফেরার পথে বোমা হামলায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2021, 02:17 PM
Updated : 10 Oct 2021, 02:17 PM

রোববার দুপুরে শরীয়তপুর পৌর শহরের আটং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে বলে পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন জানান।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সিকদার (৪০), তার ছোট ভাই তুহিন সিকদার (৩৫), সদর উপজেলার তোতা মহলদার (৩০), সুমন সরদার (২৫), মিজানুর রহমান (৩৭) ও আতাউর রহমান (৪৩)। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

আহতদের মধ্যে তুহিন সিকদারের বাম হাতের দুটি আঙল উড়ে গেছে; তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন, নড়িয়া থানা ও স্থানীয়রা জানায়, একটি হত্যা মামলায় শরীয়তপুরে আদালতে হাজিরা শেষে শহীদুল ইসলাম সিকদার, তুহিন সিকদার, তোতা মহলদার, সুমন সরদার বাড়ি পিরছিলেন।

পৌরসভার আটং এলাকায় পৌঁছানোর পর একদল লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও হাত বোমা নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।

ওসি বলেন, এ সময় আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে থাকা লোকজন রাব্বী ছৈয়াল নামের একজনকে ধরে ফেলে এবং পরে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করে।  

এ ঘটনায় পালং মডেল থানা পুলিশ বাদল খান (৩৫), মো. রাজন মোল্লা (২০), শহীদুল ইসলাম সৈয়াল (৩০)ও রাব্বী ছৈয়ালকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে। এদের সবার বাড়ি ভোজেশ্বর ইউনিয়নের চান্দিনী গ্রামে। 

নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সিকদার বলেন, “আমরা কোর্টে হাজিরা শেষে বাড়ি ফেরার পথে আটং এলাকায় ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সমর্থক রাব্বী ছৈয়ালের নেতৃত্বে বোমাসহ আমাদের উপর হামলা করে একদল লোক। বোমার আঘাতে আমার ছোট ভাই তুহিন সিকদারের বাম হাতের দুটি আঙল উড়ে যায়।”

তবে ভোজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হক বেপারী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “গত ৪ অক্টোবর আমার ছেলে বিল্লব বেপারীকে শহীদুল ইসলাম সিকদারের নেতৃত্বে একদল লোক মারধর করে মারাত্মক আহত করে। তার চিকিৎসার জন্য আমি ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে অবস্থান করছি। আজকের ঘটনা সম্পর্কে আমি কিছু জানি না।” 

নড়িয়া থানার ওসি অবনী শংকর রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হবে। যারা প্রকৃত দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, তিন/চার বছর আগে ভোজেশ্বর এলকার চান্দনী গ্রামের ইয়াকুব ছৈয়াল নামের এক ব্যবসায়ী নিহত হন। ওই হত্যা মামালার হাজিরা ছিল রোববার। ওই মামলায় হাজিরা দিতে তারা আদালতে যান। হামলার অভিযোগে আটক রাব্বী ছৈয়াল নিহত ইয়াকুব ছৈয়ালের ছেলে।

“এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আমরা চার জনকে আটক করেছি। মামলা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”