সরবরাহ কমায় দামের এই ঊর্ধ্বগতি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রংপুর সিটি বাজারের পাইকারি মোকামে (আড়ৎদার) দেশি পেঁয়াজ ৫৮ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৪৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই পেঁয়াজ খুচরা বাজারে রাখা হচ্ছে যথাক্রমে ৬৫ ও ৫৫ টাকা।
রোববার সকালে সরেজমিনে নগরির সিটিবাজার, লাবাগ বাজার, স্টেশন, সাতমাথা, মাহিগঞ্জ, বাস টার্মিনাল, মর্ডান মোড় সজবি বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সদ্য তোলা সতেজ কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০টা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহে যা ছিল ১০০-১২০ টাকা।
তার আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬০-৮০ টাকা কেজি। অপরদিকে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩৫-৪০ টাকা।
রংপুর কৃষি সস্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুল রহমান মণ্ডল বলেন, খরিপ মৌসুমে (চৈত্র থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত) লাগানো মরিচের গাছগুলো এই সময়ে বাধ্যক্যে পৌঁছায়। ফলে ফলন কমে দাম বৃদ্ধি পায় বাজারে। এছাড়াও বৃষ্টিবাদলের কারণে এই মৌসুমে মরিচের চাষ কম হওয়ায় প্রভাব পরে বাজারে।
রংপুর নগরীর সিটিবাজারে আসা অহেদুজ্জামান নামের এক ব্যক্তি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কাঁচা মরিচের যে দাম। কেজিতে কেনার স্বপ্ন বাদ। ২৫ টাকায় আধা পোয়া কিনেছি। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের মতো গরিব মানুষের তরকারিতে ঝালের আশা বাদ দিয়ে রান্না করে খেতে হবে।”
চিলমন এলাকার অটোরিকশা চালক আমিনুর ইসলাম বলেন, “আধা কেজি পেঁয়াজ কিনলাম ৪০ টাকা দিয়ে। কয়েকদিন আগেও এই টাকা দিয়ে এক কেজি কিনেছিলাম। আর ১০ টাকার কাচা মরিচ কিনলাম ১৩ টা। চাউলের চাইতে এখন মরিচ কিনতে গেলে চিন্তা বেশি করা লাগে।”
সিটিবাজারে ব্যবসায়ী সোহেল রানা জানান, আড়তে বা মোকামে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। তাই কেনা মূল্যের সঙ্গে সামান্য লাভ রেখে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন।
এর আগে শুক্রবার বিকালে রংপুর নগরীতে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড নামে একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন গিযে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “ভারতের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ায় সেখান থেকে দেশে পেঁয়াজ কম আসায় দাম কিছুটা বেড়েছে। আমদানি কম হওয়ার পাশাপাশি ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় আমাদের দেশেও দাম বেড়েছে। ভারতে দাম কমলে এখানেও কমে আসবে।”
তবে দাম যাতে বেশি বৃদ্ধি না পায় সেজন্য বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।