গোপালগঞ্জে মধুমতীর বাঁধে ধস, হুমকিতে ভাটিয়াপাড়া বাজার

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলায় মধুমতী নদীর বাঁধের পাঁচশ মিটার এলাকা ধসে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে ভাটিয়াপাড়া বাজার।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Oct 2021, 04:31 AM
Updated : 10 Oct 2021, 04:33 AM

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, মধুমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে কালনা-ভাটিয়াপাড়া সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটির ওই অংশ ধসে পড়েছে।

বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বালেন, শুক্রবার ভোরে বাঁধের ভাটিয়াপাড়া বাজার অংশের পাঁচশ মিটার অংশে ধস নামলে বেশ কিছু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

“খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। তাৎক্ষণিকভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু হয়। শনিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত আর কোনো স্থাপনা ভেঙে পড়েনি। তবে ওই অংশে শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, স্থাপনা ও একটি মসজিদ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।”

ফয়জুর রহমান বলেন, “মধুমতি নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে নদীর গতিপথ ও ভৌগলিক অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। ঘূর্ণি¯স্রোত তীব্র আকার ধারণ করায় বাঁধ হুমকিতে পড়েছে।

“বাঁধের আরো কিছু অংশ ঝুঁকির মুখে রয়েছে। আমারা ভাঙন প্রতিরোধ ও বাঁধ রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছি।

কাশিয়ানীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, নদী গর্ভে বিলীন হওয়া ২২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম তারা তালিকাভুক্ত করেছেন। আরো কিছু ছোটখাটো দোকান নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইউএনও বলেন, “ভাটিয়াপাড়ার ওপারে নড়াইল জেলার লোহাগড়া অংশ থেকে বালু উত্তোলন করা হয়। গোপালগঞ্জ অংশ থেকে কোনো বালু উত্তোলন হয় না। তাই গোপালগঞ্জ অংশে ভাঙনের কোনো কারণ আমার জানা নেই। বিশেষজ্ঞরা এটা বলতে পারবেন।”

কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিম বলেন, ভাটিয়াপাড়া থেকে কালানা পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার সড়কে শতাধিক বালুর চাতাল রয়েছে। সেখানে বালু মজুদ রেখে ‘প্রভাশালীরা’ ব্যবসা করে।

“তারা মধুমতিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে অবৈধভাবে বালু তোলে। মধুমতী নদীর বাঁধ ঘেঁষে বালু লোড আনলোড করেন। তাতে বাঁধেরও ক্ষতি হয়। এ বিষয়ে সরকারের হস্তক্ষেপ দরকার।”