বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত ঘেঁষা তাওয়াকুচা এলাকায় গারো পাহাড়ের পাদদেশে মাটি খুঁড়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত জহির উদ্দীন (৭৩) শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের খাড়ামোড়া গ্রামের বাসিন্দা। গত রোববার থেকে জহির নিখোঁজ ছিলেন।
শুক্রবার তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত রোববার রাতে জহির নিজ গ্রামের সোমেশ্বরী নদীসংলগ্ন এলাকায় তার ধান ক্ষেত পাহারা দিতে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজন আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় অনেক খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পাননি।
পরে ওই ঘটনায় জহিরের ভাই মহসীন আলী শ্রীবরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার ঝিনাইগাতীর তাওয়াকুচা এলাকার স্থানীয় লোকজন পাহাড়ের ভেতরে কবরের মতো একটি জায়গা দেখে সন্দেহ হলে বিষয়টি থানায় জানান। পুলিশ মাটি খুঁড়ে অর্ধগলিত একটি লাশ উদ্ধার করে।
পরে জহিরের স্বজনরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন বলে ওসি জানান।
ওসি আরও জানান, নিখোঁজের পর তার ভাই সাধারণ ডায়েরি করেছিলেন। এখন থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
“কেউ কৃষক জহিরকে হত্যা করে লাশ গারো পাহাড়ে মাটিচাপা দিয়ে রেখেছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।