বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো. যাবিদ হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মেহেদী হাসান রাব্বী (২২) লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামের নুরুজ্জামান ঠগের ছেলে। তিনি নগরীর ধাপ শ্যামলী লেন এলাকায় থাকতেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ পিপি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, পীরগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন এক শিক্ষা কর্মকর্তা নগরীর ধাপ শ্যামলী লেন এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার বড় মেয়ে স্থানীয়একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণীতে পড়তেন।
রাব্বী স্কুলে যাতায়াতের পথে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রতিবেশী প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রাব্বি ওই শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ১০ জুলাই রংপুর কোতোয়ালি থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাত দিন পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহরণকারীসহ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
রায়ে আসামিকে অপহরণের জন্য ১৪ বছর এবং ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন বিচারক।
অপর চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।
পিপি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন। যেদিন তিনি গ্রেপ্তার হবেন সেদিন থেকে রায় কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে।