মৌলভীবাজারে দুর্গা আগমনী নৃত্যানুষ্ঠান ‘শক্তিভূতে সনাতনী’ মঞ্চায়িত

দেবী দুর্গার দশমহাবিদ্যার দশ রুপের বর্ণনা নিয়ে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‘শক্তিভূতে সনাতনী’ নামে নৃত্যানুষ্ঠান মঞ্চায়িত হয়েছে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2021, 09:21 AM
Updated : 6 Oct 2021, 09:21 AM

‘শ্রীমঙ্গল বিবেকানন্দ ছাত্র পরিষদের’ আয়োজনে দেবীর আগমনীবার্তা মহালয়ার আগে  মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামের মঞ্চে এ অনুষ্ঠান হয়।

নৃত্য পরিচালক ও শিক্ষিকা অনিতা দেবের সঞ্চালনায়  প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।

বিবেকানন্দ ছাত্র পরিষদের সভাপতি  মনোজ কুমার যাদব  বলেন, শারদীয় দুর্গোৎসবের আগমনী আমেজ নিয়ে আসে মহালয়ার পবিত্র তিথি।  মূলত মহালয়ার মাধ্যমেই দেবীপক্ষের সূচনা হয়।

“তাই মহালয়ার এই পবিত্র তিথিতে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের নামকরণ করা হয়েছে ‘শক্তিভূতে সনাতনী’ নৃত্যমালিকা। ”

এক ঘণ্টার এ অনুষ্ঠানে দেবী দুর্গার সৃষ্টি ও অসুরবধের কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয় আগমনী গান।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক বলেন, “পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত ছিল। 

অন্যদিকে অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন দেবতারা ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের নিকট এই মহিষাসুরকে বধের প্রার্থনা করতে থাকেন।  আর এই ত্রিশক্তিই তখন দশভুজা নারীশক্তির সৃষ্টি করেন।

“তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা।”

অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার-৪ আসনের  সংসদ  সদস্য ও সাবেক চিফ হুইপ ড. মো. আব্দুস শহীদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ।

এছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. বিনেন্দু ভৌমিক, পূজা উদযাপন পরিষদ মৌলভীবাজার জেলা শাখার সহ-সভাপতি দ্বিজেন্দ্র লাল রায় ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব দেবাশীষ চৌধুরীসহ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশ গ্রহণ করেন।

ঘণ্টাব্যাপী এই অনুষ্ঠান চলাকালে দর্শক সমাগমে মুখরিত ছিল পুরো অডিটোরিয়াম।