শিমুলিয়া থেকে ফের স্পিডবোট চলার প্রস্তুতি

পাঁচ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকা শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিরকান্দি নৌরুটে ফের স্পিডবোট চালুর প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Oct 2021, 07:40 PM
Updated : 5 Oct 2021, 07:40 PM

সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এই রুটে স্পিডবোট চলবে বলে বিআইডাব্লিউটিএ-এর সহকারী পরিচালক সাহাদাৎ হোসেন জানিয়েছেন।

চলতি বছরের ৩ মে মাদারীপুরের নাওডোবায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। তখন এই রুটে চলাচলকারী প্রায় সাড়ে ৪শ স্পিডবোট বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।

সাহাদাৎ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে চলা এই যানগুলোকে নিয়মে আনতে স্পিডবোটের নিবন্ধন, চালকদের ডোপ টেস্ট, যোগ্যতা সনদ ও রুট পারমিট প্রক্রিয়ার পর স্পিডবোট সচলের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

“এই রুটে এ পর্যন্ত ১৩২টি স্পিডবোটের রেজিস্ট্রেশন পেপার আমার দপ্তরে পৌঁছেছে। তবে চলার জন্য টাইমটেবিল পাওয়া গেছে ১৯টি স্পিডবোটের। আরও প্রায় একশটির টাইমটেবিল প্রক্রিয়াধীন আছে।”

তিনি আরও জানান, স্পিডবোট রেজিস্ট্রেশন পেলেও নয় জনের মতো চালক ডোপ টেস্টে মাদকাসক্ত প্রমাণিত হওয়ায় ড্রাইভিং লাইসেন্স পায়নি। তাই কিছু স্পিডবোট রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পরও বৈধ চালকের অভাবে চলাচলের অনুমতি পাচ্ছে না।

১৪৫টি স্পিডবোট রেজিস্ট্রেশনের জন্য আবেদন করলেও যাচাই বাছাই করে এ পর্যন্ত ১৩২টির রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

“এই নৌরুটে ৪০ সিসি হর্স পাওয়ার থেকে ২০০ সিসি হর্স পাওয়ার পর্যন্ত অন্তত ৪ ধরনের স্পিডবোট চলাচল করে। সবগুলিই এখন সর্বাধিক ১২ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। তবে বড় স্পিডবোটের জন্য বেশি যাত্রী বহনের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা চলছে।”

শিমুলিয়া স্পিডবোট ঘাটের ইজারাদার মোহাম্মদ আশরাফ খান বলেন, “প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকলেও এখন বৈধভাবে স্পিডবোট চালু হওয়ার প্রক্রিয়ায় আমরা খুশি। এখন যাত্রীসেবার মান আরও বাড়বে। দুর্ঘটনা কমে যাবে। আমাদের জন্যও সুবিধা হবে।”

ঢাকার সদরঘাটের শিপ সার্ভেয়ার মো. মামুনুর রশিদ বলেন, মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া এবং মানিকগঞ্জের আরিচা ঘাটের ২৩২টি স্পিডবোটের ইতিমধ্যে  রেজিস্ট্রেশন সনদ, সার্ভে সনদ এবং স্পিডবোট চালকের সনদ প্রদান করা হয়েছে।

“আমরা যান দেখাশোনা করি, কিন্তু নদী দেখাশোনা করে বিআইডব্লিটিএ। কবে থেকে স্পিডবোট চলবে একমাত্র তারাই বলতে পারে। ২৩২টি সনদ প্রদানের পর আরও বেশকিছু সনদের আবেদন এসেছে, যা এখন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

সনদ প্রদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে এটা একটা জটিল প্রক্রিয়া। সনদ পাওয়ার জন্য অনেক কাগজপত্র দরকার। কাগজ সঠিক কিনা তা যাচাই-বাছাই করে স্ক্যান করে সার্ভারে আপলোড দিতে হয়।