মঙ্গলবার সকালে কয়লাঘাট এলাকায় ডাকাতিয়া নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
নিহত রুবেল হোসেন (১৯) শহরের পুরানবাজার মেরকাটিজ রোডের হুমায়ুন বেপারীর ছেলে। তিনি অটোরিকশা চালক ছিল।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি আব্দুর রশিদ বলেন, সোমবার মধ্যরাতে ৫ নম্বর ঘাটে ডাকাতিয়া নদীর তীরে দুই যুবক বসে মাদক সেবন করছিল। নদীর পাড়ে টর্চ লাইটের আলোতে পুলিশ দেখে ভয়ে তারা নদীতে ঝাঁপ দেয়।
“ওই সময় রুবেল ডাকাতিয়া নদীতে তলিয়ে গেলেও তার অপর জন হাসান (১৮) নদী থেকে তীরে উঠে আসে।”
পুরানবাজার ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার লিডার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, দুই ঘণ্টা ১৫ মিনিট উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে রুবেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ওসি রশিদ বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রুবেলের বন্ধু হাসান জানান, ৫ নম্বর কয়লা ঘাটের নদীর পাড়ে দুই বন্ধু বসে সুখ-দুঃখের আলাপ করছিলেন। এ সময় টর্চ লাইটের আলো দেখে পুলিশ ভেবে দুজন নদীতে ঝাঁপ দেন। রুবেলের শরীরে ‘প্রচণ্ড জ্বর’ থাকায় তিনি পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হন।
রুবেলের বাবা হুমায়ুন বেপারী বলেন, তার ছেলে মাদকাসক্ত ছিলেন না। তার জানা মতে রুবেল মাদকের সাথে জড়িত ছিলেন না। এক সপ্তাহ যাবত তিনি জ্বরে ভুগছিলেন।
“রাতে সে তার বন্ধুর সাথে নদীর পাড়ে আড্ডা দিচ্ছিল। পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ডুবে ছেলের মৃত্যু হয়।”
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, রুবেলের বন্ধু হাসান পুলিশের কাছে গাঁজা সেবনের বিষয়টি স্বীকার করেছে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।