এরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মিন্টু ওরফে কালু ও একই গ্রামের আজিজ ওরফে আজিজুল।
মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টায় গ্রামের কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয় বলে আলমডাঙ্গা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খান জানান, সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে সব নিয়ম মেনে দুই আসামির দণ্ড কার্যকর করা হয়।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন সে সময় উপস্থিত ছিলেন।
ফাঁসি কার্যকর হওয়ার পর দুই আসামির মরদেহ মঙ্গলবার ভোর রাতে তাদের গ্রামে পৌঁছায়। আগে থেকেই সেখানে কবর প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
দুই পরিবারের লোকজনের কাছে লাশ হস্তান্তর করার পরপরই দাফনের কাজ শেষ করা হয় বলে জানান ওসি।
২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আজিজুল ও মিন্টু আলমডাঙ্গার রায় রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। ওই ঘটনার পরদির মামলা হয়।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই আজিজুল ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আসামিপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর হাই কোর্টের রায়ে সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকে।
পরে আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায়। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সেখানেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।
এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হয়ে গেলে দণ্ড কার্যকরের বাধা কাটে।