গত দুদিন ধরে অব্যাহত ভারি বৃষ্টিতে নগরীর জনজীবনে ব্যাপক দুর্ভোগ নেমে আসে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, রোববার সকাল ৯টা থেকে সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত চব্বিশ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে রংপুরে ২৬৫ মিলিমিটার। শুধু রাতের ৭ ঘণ্টায় জেলায় ২২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
রাস্তাঘাট-দোকানপাট ও ঘরে পানি ওঠায় মানুষের দিন শুরু হয়েছে দুর্ভোগে। জলাবদ্ধতা নিরসনে সিটি করপোরেশনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়েনি সারাদিন।
নগরবাসীর অভিযোগ, শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১৬ কিলোমিটারের শ্যামা সুন্দরী ক্যানেল ঠিকমতো ড্রেজিং না করাসহ অনুন্নত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে একটু ভারি বৃষ্টিপাত হলেই পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।
মুন্সিপাড়ার অপু মিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার রাত থেকে টানা বৃষ্টিতে তার বাড়ি সংলগ্ন শ্যামা সুন্দরী এখন পানিতে টইটুম্বর। বৃষ্টির পানি তাদের ঘরে ঢুকে পড়ায় আসবাবপত্র অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। একই অবস্থা তার বাড়ির আশপাশের অনেকের।
বাবুঁখা এলাকার বাবু মিয়া বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য এখনও পর্যাপ্ত ড্রেন তৈরি হয়নি। পাড়া-মহল্লার ছোট ছোট খালগুলো ভরাট হওয়া, আর দখলদারিত্বের কবলে পড়ায় বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই বাড়ির আশপাশসহ নগরীর অধিকাংশ নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এরকম বৃষ্টি তো গত বছরও হয়েছিল। তবে গত বছরে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। ক্যানেল পরিষ্কার থাকায় পানি নেমে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত যেসব এলাকায় পানি উঠেছে তা নিচু এলাকা।”
পানিবন্দি মানুষকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে সংশ্লিষ্ট এলাকার কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত এভাবে বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ২৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। সোমবার ও মঙ্গলবার দুদিনে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবার মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।