জেলার তুহিন কান্তি খান জানান, সোমবার রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে দুই আসামির দণ্ড কার্যকরের কথা রয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায় লক্ষ্মীপুর গ্রামের মিন্টু ওরফে কালু ও একই গ্রামের আজিজ ওরফে আজিজুল।
২০০৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আজিজুল ও মিন্টু আলমডাঙ্গার রায় রায়লক্ষ্মীপুর গ্রামের দুই বান্ধবীকে ধর্ষণের পর হত্যা করেন। ওই ঘটনার পরদির মামলা হয়।
দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২০০৭ সালের ২৬ জুলাই আজিজুল ও মিন্টুকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
আসামিপক্ষ ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আপিল করে। ২০১২ সালে ১১ নভেম্বর হাই কোর্টের রায়ে সর্বোচ্চ সাজা বহাল থাকে।
পরে আসামিরা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায়। চলতি বছরের ২৬ জুলাই সেখানেও মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকে।
এরপর রাষ্ট্রপতির কাছে দুই আসামির প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ হয়ে গেলে দণ্ড কার্যকরের বাধা কাটে।
জেলার বলেন, ফাঁসি কার্যকর করতে আটজন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জনকে সে সময় উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির অনুরোধে তাদের স্বজনদের সঙ্গে শেষ দেখার আনুষ্ঠানিকতাও ইতোমধ্যে সমপন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি।