জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফের ডটকমকে জানান, রোববার মধ্য রাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সাগরে মাছধরার ট্রলারগুলো পটুয়াখালীর বৃহৎ মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর-ঢোস-মৌডুবিসহ সকল মৎস্য বন্দরে নোঙ্গর করে রাখে। মাছধরার সরঞ্জামও গুছিয়ে রেখেছে জেলেরা।
ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে বিশেষ করে তেতুলিয়া নদী, পায়রা নদী, আগুনমুখা নদী আর কারখানা নদীতে মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে এ মৎস্য কর্মকর্তা জানান।
এমদাদুল্লাহ বলেন, মৎস আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ের ২২ দিন অভিযান চলবে। অভিযানে মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন, পুলিশ, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও প্রথমবারের মতো বিমান বাহিনীও অংশগ্রহণ করবে।
এ সময়ে পটুয়াখালী জেলায় ৬৬ হাজার ৬৮০ জন নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ৬৩ হাজার ৮০০ জন জেলে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ২০ কেজি করে খাদ্য সহায়তা পাবে।
এই কর্মসূচি সফল করতে জেলার সকল ইউনিয়নে সভা সেমিনারের মাধ্যমে মাছ না ধরতে জেলেদের সচেতন করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল বরফ কলের বরফ উৎপাদনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
২২ দিনের অবরোধ সফল হলে ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী এ মৎস্য কর্মকর্তা।