শনিবার গভীর রাতে ফেনসিডিলসহ বিজিবির হাতে ধরা পড়েছিলেন ওই যুবক। থানায় নেওয়ার সময় তিনি পদ্মায় ঝাঁপ দেন। রোববার দুপুরে তার লাশ পাওয়া যায়।
নিহত ভরত মণ্ডল (৩৩) ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগর থানার চকরাজাপুর পশ্চিম কলোনি গ্রামে বলে জানান কাটাখালী থানার ওসি এস এম সিদ্দিকুর রহমান।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভরত একজন মাদক ব্যবসায়ী। শনিবার রাত ২টার দিকে তিনি ১০০ বোতল ফেনসিডিল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি বিজিবির ১০ নম্বর পদ্মার চর সীমান্ত ফাঁড়ির সদস্যদের হাতে ধরা পড়েন।
“আটকের পর বিজিবি সদস্যরা তাকে নৌকায় করে আনছিলেন। এক পর্যায়ে পালানোর জন্য হাতকড়া পরা অবস্থায় তিনি নদীতে ঝাঁপ দেন। এতে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। রোববার দুপুরে তার লাশ ভেসে উঠলে জেলেরা বিজিবিকে খবর দেয়।”
লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ ও একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে। এরপর লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় দায়ের করা অপমৃত্যুর মামলাটি নৌ-পুলিশ তদন্ত করবে বলে জানান ওসি।
বিজিবির রাজশাহী ১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সাব্বির আহমেদ বলেন, ভারতীয় ওই মাদক ব্যবসায়ী ফেনসিডিলসহ রাজশাহী সীমান্তের ১০ নম্বর চরের খয়ের বাগানে এলাকায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবির হাতে ধরা পড়েন।
“পুলিশে সোপর্দ করার জন্য নৌকায় করে আনার সময় তিনি বিজিবির এক সদস্যকে ধাক্কা দিয়ে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন। রাতে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। দুপুরে পদ্মা নদীর ত্রিমোহনী এলাকায় তার লাশ ভেসে ওঠে।”