মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মাদ মূসা জানান, শনিবার বেলা ১১টায় থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ 'এমভি এসপিএম ব্যাংকক’ মোংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে ভেড়ে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর জাপানের কোবে বন্দর থেকে জাহাজটি মোংলা বন্দরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে বলে তিনি জানান।
মূসা আরও জানান, জাহাজটিতে মেট্রোরেলের বগি ছাড়াও আরও ৩২টি প্যাকেজের সরাঞ্জম এসেছে। সন্ধ্যার মধ্যে ওই বগি ও ইঞ্জিন খালাস শেষ হবে।
বিদেশি জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনসিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানি লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মো. ওহিদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, ৫ম দফায় জাপানের কোবে বন্দর থেকে এম ভি এসপিএম ব্যাংকক জাহাজে করে শনিবার চারটি ইঞ্জিন ও আটটি কোচ এসেছে পৌঁছেছে। এগুলো খালাস শেষে নদীপথে ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়ীতে পাঠানো হবে।
গত ৫ মে এমভি ওশান গ্রেস জাহাজে ছয়টি বগি, ২০ জুলাই এমভি হরিজন-০৯ জাহাজে ১০টি বগি ও দুইটি ইঞ্জিন, ১২ সেপ্টেম্বর চারটি বগি ও দুইটি ইঞ্জিন নিয়ে এম ভি প্রেসার্স কোরাল মোংলা বন্দরে ভেড়ে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, সর্ব প্রথম গত ৩১ মার্চ এমভি এসপিএম ব্যাংকক জাহাজে মেট্রোরেলের ছয়টি কোচ আসে। তারপর থেকে ধারাবাহিকভাবে ইঞ্জিন ও কোচ আসছে এ বন্দর দিয়ে।
মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি করছে জাপানের কাওয়াসাকি-মিতসুবিশি। প্রতি সেট ট্রেনের দুইপাশে দুটি ইঞ্জিন থাকবে। এর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ।
ট্রেনগুলোয় ডিসি ১৫০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা থাকবে। স্টেইনলেস স্টিল বডির ট্রেনগুলোতে থাকবে লম্বালম্বি আসন। প্রতিটি ট্রেনে থাকবে দুটি হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রতিটি বগির দুইপাশে থাকবে চারটি করে দরজা।
জাপানি স্ট্যান্ডার্ডের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংবলিত প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী ধারণক্ষমতা হবে এক হাজার ৭৩৮ জন।