বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব -১১ লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা জানান, আগের দিন ঢাকা, নরসিংদী ও কুমিল্লায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
এরা হলেন- মো. সাইদুল ইসলাম (১৯), কিশোর চন্দ্র সাহা (১৮), মো. রিফাত হোসেন (১৮), মো. আব্দুল হালিম।
কর্নেল তানভীর জানান, জেলার দাউদকান্দি মডেল থানাধীন শাহপুর গ্রামের মো. আল আমিন এর ছেলে ৮ম শ্রেণীর ছাত্র মো. আশ্রাফুল (১৬) করোনাভাইরাস মহামারীতে সংসারের হাল ধরতে পড়ালেখার পাশাপাশি অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভাড়ায় যাবার কথা বলে আশ্রাফুলকে দৈয়াপাড়া এলাকায় নিয়ে যায় সাইদুল, কিশোর ও রিফাত। পরে দৈয়াপাড়া এলাকায় গাছের সঙ্গে তার হাত-পা বেঁধে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে অটোরিকশা নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু কিছুদূর যাবার পর অটোরিকশাটি উল্টে খাদে পড়ে যাওয়ায় সেটি নেওয়া সম্ভব হয়নি।
পরদিন সকালে দৈয়াপাড়ার ওই এলাকা থেকে আশ্রাফুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত আশ্রাফুলের বাবা মো. আলামিন বাদী হয়ে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরের দিন সকালে রিফাত ঢাকা ও কিশোর নরসিংদীতে চলে যায়।আর সাইদুল বাড়িতেই থাকে বলে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।