এদিকে তাকে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এবং প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি ওই তিন প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল লতিফ জানান।
বুধবার সকালে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, চুল কাটার ঘটনার বিষয়ে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। সেই প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর জানতে পারেনি।
এরপর সেই শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে ‘বাধ্য করা হয়’। ছাত্রাবাসে ফিরে গিয়ে এসব শিক্ষার্থীর অনেকে মাথা ন্যাড়া করে ফেলেন।
পরে বিষয়টি ফেইসবুকে ছড়ালে সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন সেই ১৬ ছাত্রকে ডেকে নিয়ে ‘হুমকি দেন ও ভয়ভীতি দেখান’ বলে তাদের অভিযোগ।
এরই মধ্যে এক শিক্ষার্থী সোমবার অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তাকে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র অধ্যয়ন বিভাগের প্রধান ফেরদৌস হিমেল জানান।
এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার দিনভর বিক্ষোভ দেখান।
পরে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল লতিফ শিক্ষার্থীদের সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি করান। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ওই বৈঠকের পর তিনি তদন্ত কমিটি করার কথা বলেন।
পরে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন।
তবে তাকে স্থায়ীভাবে অপসারণের দাবীতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বুধবার থেকে ক্যাম্পাসে অনশনে বসবেন তারা।
শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল লতিফ বলেন, “স্থায়ীভাবে অপসারণ তো তাৎক্ষণিকভাবে করা সম্ভব নয়, তদন্তের প্রয়োজন আছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ভিসি না থাকায় এখনই এটা করা যাচ্ছে না।
“শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সম্মান রেখেই শিক্ষিকা ফারহানাকে তার পদগুলো থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, আশা করছি শিক্ষার্থীরা বিষয়টি অনুধাবন করবেন।”