শনিবার দুপুরে আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয় এবং আক্কেলপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
সংবর্ধনা নিয়েছেন গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর, যিনি এবার জেলা আওয়ামী লীগের ‘যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক’ পদ পেয়েছেন।
পৃথক এই দুই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান এবং আক্কেলপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান, উপাধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর ১২টার আগে থেকে আক্কেলপুর কলেজ গেট থেকে ভেতরে প্রশাসনিক ভবন পর্যন্ত দুই পাশে রোদের মধ্যে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থীরা হাতে ফুলের ডালা নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এরপর তিনি সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে যান এবং সেখানেও একইভাবে তিনি ফুলেল শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা গ্রহণ করেন।
সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান বলেন, “গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর এই বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তাই আমরা বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দিয়েছি।”
গোলাম মাহফুজ চৌধুরী কলেজের কোনো পদে না থাকলেও শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে কেন সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে আক্কেলপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজের উপাধ্যক্ষ আবিদা সুলতানা কুইন কোনো মন্তব্য করেননি।
জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অবসর সাংবাদিকদের বলেন, “শনিবার দুপুরে আক্কেলপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ এবং সোনামুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা আমাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। একইভাবে জাফরপুর এলাকাতেও আমাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।”
তবে শিক্ষার্থীদের লাইনে দাঁড় করিয়ে রেখে সংবর্ধনা নেওয়া যাবে কিনা জিজ্ঞাসা করলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
সংবর্ধনার ঘটনাটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এভাবে কোনো নেতাই সংবর্ধনা গ্রহণ করতে পারবেন না।”
জয়পুরহাট জেলা প্রশাসক শরিফুল ইসলাম বলেন, “এই ধরনের কোনো অনুষ্ঠান করার সুযোগ নেই। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখি। এরকম যদি কোনো প্রতিষ্ঠান করে এবং কোনো কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে যদি কোনো অভিযোগ আসে নিশ্চয় আমরা এটা খতিয়ে দেখে তদন্ত করে যাথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”