এরমধ্যে পঞ্চাশ বছরের পুরনো বিদ্যালয় ছাড়াও রয়েছে সদ্য জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। এসব বিদ্যালয়গুলো অবিলম্বে পুর্ননির্মাণের দাবি তুলেছেন এলাকাবাসী।
জেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম জানান, খাগড়াছড়ি জেলা সদরের লক্ষ্মীমুড়া প্রকল্প সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রঞ্জনমনি কার্বারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ জেলার ৪৯টি বিদ্যালয়ের জরাজীর্ণ অবস্থা। এতে পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে; ফলে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর ভবিষ্যত নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
বাকি তিনটি শ্রেণী কার্যক্রম চালাতে হয় বিদ্যালয়ের বারান্দা বা খোলা আকাশের নিচে। পঞ্চম শ্রেণীর ক্লাস নিতে হয় পাশের ইউনিসেফ পাড়াকেন্দ্রে।
শহীদুল বলেন, লক্ষ্মীমুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে ওঠায় কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছেন।
“বিদ্যালয়ের ভবনটির প্লাস্টার খসে পড়ে রড বেরিয়ে গেছে। দরজা জানালাও নেই। বর্ষায় ছাদ ছুয়ে ভিতরে পানি পড়ে। ক্ষণে ক্ষণে প্লাস্টার খসে পড়ায় শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যেতে ভয় পায়।”
এছাড়া করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে দীর্ঘ দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। ফলে এসব স্কুল পাঠদানের জন্য আরও বেশি অনুপযোগী হয়ে গেছে বলে জানান এ শিক্ষা কর্মকর্তা।
গোয়াইছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি হ্লাপ্রু চৌধুরী বলেন, “এ বিদ্যালয়ে শ্রেণী কক্ষ না থাকায় মাঠে পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। বিদ্যালয়টি নতুন করে নির্মাণ করা হবে বলে শোনা গেলেও বাস্তবে কিছুই দেখছি না।”
“টিন নষ্ট হয়ে যাওয়ায় বাইরে থেকে ভেতরের সব দেখা যায়। বেড়া ভেঙে বিদ্যালয়ের ভেতর গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।”
রঞ্জনমনি কার্বারিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ধনা চন্দ্র সেন জানান, তার বিদ্যালয়টি খুব জরাজীর্ণ। বর্ষার সময় বৃষ্টির পানি চুয়ে পড়ায় শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে খুবই সমস্যা হয়।
এসব সমস্যার বিষয়ে ঊর্ধতন কর্তপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে জানিয়ে জেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও জরাজীর্ণ ১১টি বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের প্রস্তাব করে মন্ত্রণালয়ে ডিও লেটার পাঠানো হয়েছে।