এ ঘটনায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশেল বিরুদ্ধে।
জেলার পাথরঘাটা পৌরসভার আনোয়ার হোসেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই ছাত্রীর অভিযোগ, বুধবার স্কুল ছুটির আগেই এক সহপাঠী কিশোর তার স্কুলব্যাগ ক্লাস থেকে ছিনিয়ে নিয়ে স্কুলগেটে অপেক্ষা করে। ছাত্রী ব্যাগ নিতে গেলে কিশোর তাকে চুমু খায়। কিশোরের আরেক সহপাঠী তা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।
ছাত্রীর অভিযোগ, ওই কিশোর সহপাঠী তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি তার মা ও মামাকে জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নেননি।
“থানায় মামলা দিতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। এখন আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই।”
ছাত্রীর মা এক প্রতিবেশীর কাছে ওই দিনই ভিডিওটি দেখতে পান বলে জানান।
তিনি বলেন, “আমি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অবহিত করি। প্রধান শিক্ষক বললেও ছেলেকে নিয়ে স্কুলের যাননি তার মা।
“শুক্রবার রাতে মামলা করার জন্য থানায় যাই। ভাইরাল হওয়া ভিডিও ওসি সাহেবকে দেখাই। ওসি আমাদের অনেক সময় বসিয়ে রেখে পরে যোগাযোগ করতে বলেন। তিনি মামলা না নিয়ে আমাদের বিদায় করে দেন। এখন সম্মান বাঁচাতে আমাদের আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কিছু করার নেই।”
কিশোরের বাবা সৌদি প্রবাসী। কিশোরকে নিয়ে তার মা পাথরঘাটা ইউনিয়নের হাজিরখাল এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার বলেন, “আমি ভিডিওটি দেখেছি। তারা মামলা করতে আসেননি, বিষয়টি জানাতে এসেছিলেন। আমি ছেলের মাকে বলেছি, তার ছেলেকে নিয়ে থানায় আসতে।”