শুক্রবার সকালে উপজেলার টিকেট গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে র্যাব আটক করেছে।
নিহত ১৬ বছর বয়সী মেয়েটি দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামের বাসিন্দা এবং সাতক্ষীরা সদরের গাভা এ কে এম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।
মেয়েটির বাবা জানান, তার দুই মেয়ে গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম ও ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। বাড়ি থেকে বাইসাইকেলে তারা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করত। দুবোন একই গ্রামের দেবদাস ঢালীর কাছে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যেত। রাত ৯টায় বাড়ি ফিরে আসত।
নিহত ছাত্রীর ছোট বোন সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দিদির সঙ্গে তিনি প্রাইভেট পড়তে বের হন। নদী পার হওয়ার পর তিনি দিদিকে আর দেখতে পাননি। পরে দেবাদাস স্যারকে বিষয়টি বলে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন।
“রাত ৯টার দিকে বাবা ও স্থানীয়রা দিদিকে খুঁজতে বের হয়। কিন্তু রাতে তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুক্রবার সকালে গ্রামের একটি পুকুর পাড়ে তাকে বিবস্ত্র ও দুহাত বাঁধা অবস্থায় পাওয়া যায়।”
মেয়েটি আরও বলেন, “প্রতিবেশী এক যুবকের সঙ্গে দিদির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বৃহস্পতিবার দিদির মোবাইল ফোনে একটি ম্যাসেজ আসার পর সে আর স্যারের কাছে পড়তে যায়নি।”
দেবহাটা থানার পরিদর্শক ফরিদ হোসেন বলেন, মেয়েটির দুহাত বাঁধা ছিল। গলায় ওড়না পেঁচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাকে মোবাইল ফোনে ডেকে এনে ধর্ষণের পর করে হত্যা করা হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে পাওয়া একটি ম্যাসেজ ও মোবাইল কললিস্ট যাচাই করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ভরত চন্দ্র সরকার জানান, বিকালে র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং স্থানীয় দেবব্রত ঢালীকে (৪০) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে।