বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মাছ বাজার থেকে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মাসুম বিল্লাহ নামের এই ব্যক্তি নিজেকে নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগের অভিজ্ঞ পরিচয় দিয়ে বরগুনা শহরের ফার্মেসী পট্টি এলাকায় ‘মিলন মেডিকেল হলে’ চেম্বার করেন।
মারা যাওয়া ৯ মাস বয়সী শিশুটির বাবা এই ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় অভিযোগ করেছেন। তিনি সদর উপজেলার কেওড়াবুনিয়া ইউনিয়নের চালিতাতলা গ্রামের বাসিন্দা।
অভিযোগে তিনি বলেন, তার ছেলে জ্বর ও সর্দিকাশিতে অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসার জন্য বরগুনার চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে মাসুম বিল্লাহর কাছে নিয়ে যান। মাসুম বিল্লাহ শিশুটিকে দেখে জরুরিভিত্তিতে কয়েকটি পরীক্ষা করতে বলেন।
“পরে পরীক্ষার রিপার্ট দেখে মাসুম বিল্লাহ শিশুটি হার্টে সমস্যা আছে বলে উল্লেখ করেন এবং একদিন পর পর চেম্বারে এসে চারটি ইঞ্জেকশন দিতে হবে বলে জানান।”
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত রোববার [১৯ সেপ্টেম্বর] বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মাসুম বিল্লাহ নিজ হাতে একটি ইঞ্জেকশন দেন শিশুটিকে। পাশাপাশি নিয়মিত আরও ওষুধ সেবনের কথা বলেন।
“ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর থেকে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। তারপর রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ওষুধ সেবনের পরপরই খিঁচুনি দিয়ে শিশুটি মারা যায়।”
শিশুটির বাবার ভাষ্য, প্রেসক্রিপশনটি অন্য একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দেখালে তিনি ‘অপচিকিৎসায়’ শিশুর মৃত্যুর হয়েছে বলে মত দেন।