বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মাহবুবুর রহমান রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন বলে জানান সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফুর রহমান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাফি উদ্দিন জাহির, নূর মোহাম্মদ, শামীম আহমেদ ও আব্দুল হালিমকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি চাইলে আদালত পাঁচ দিন মঞ্জুর করে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে ওসমানীনগরের শেরপুর নতুনবাজার ইউনুস ম্যানশনে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৪ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা লুট হয়। চার সদস্যের মুখোশ পরা একদল ডাকাত বুথের নিরাপত্তারক্ষীকে হাত-মুখ বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুট করে।
ব্যাংকের শেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক সৈয়দ আশরাফুল আমিন বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় মামলা করেন।
লুটের সঙ্গে জড়িত চারজনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। বুধবার রাতে হবিগঞ্জ থেকে সাফি উদ্দিন জাহিরকে গ্রেপ্তার করে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এর আগে মঙ্গলবার রাতে নূর মোহাম্মদ, শামীম আহমেদ ও আব্দুল হালিমকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) এটিএম বুথে লুটের ঘটনার ‘পরিকল্পনাকারী’ শামীম আহমেদ ও সাফি উদ্দিন জাহির। আরব আমিরাতের দুবাইয়ে তারা দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার সুবাদে তাদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠে। দেশে ফিরে তারা চুরি-ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন।
ফরিদ উদ্দিন বলেন, “এটিএম লুটের ঘটনা দেশে বিরল। ব্যাংকের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভেঙে এ ধরনের লুট আমাদের বিস্মিত করছে। ঘটনার পরপরই সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল মাঠে নামে। ছায়া তদন্ত শুরু করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার একটি দলও।”
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে ১০ লাখ আট হাজার টাকা, দুটি মোবাইল ফোন, একটি ছুরি, মাথায় ব্যবহারের তিনটি কাপড়ের টুকরো, দুটি শাবল ও একটি মটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, তাছাড়া আটক শামীম জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, লুটের চার লাখ টাকা তার ব্যাংক হিসাবে আছে। সেই হিসাব ফ্রিজ করা হবে।