তবে বন্দরের অভ্যন্তরে ভারতীয় আমদানি পণ্যের আনলোড কাজ স্বাভাবিক রয়েছে।
১৫ দফা দাবি আদায়ের জন্য বাংলাদেশ ট্রাক, কভার্ডভ্যান, প্রাইম মুভার পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশন ৭২ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে। এই সময়ে কোনো ধরনের পণ্যবাহী যানবাহন চলবে না বলে সংগঠনের পক্ষে জানানো হয়।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দীন গাজী বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে, চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত। এ সময় কোনো ধরনের পণ্যবাহী যানবাহন চলবে না।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, পরিবহন কর্মবিরতির কারণে ট্রাক চালকরা খালাস করা পণ্য নিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না। দ্রুত কর্মবিরতি প্রত্যাহার না হলে শিল্প কারখানায় কাঁচামালের অভাবে উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এতে বড় ধরনের লোকশানের কবলে পড়বেন ব্যবসায়ীরা।
বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি এ কে এম আতিকুজ্জামান সনি বলেন, এ কর্মবিরতিকে সমর্থন জানিয়ে বেনাপোল বন্দর এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেছে বেনাপোল ট্রাক ও ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতি।
চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার ট্রেইলার শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ২০৮৮) কর্তৃক চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সমীপে পেশ করা প্রস্তাব বা সুপারিশগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে বলে দাবি তাদের।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল জলিল বলেন, ট্রাক মালিকদের কর্মবিরতিতে বেনাপোল বন্দর থেকে খালাসকৃত পণ্য পরিবহন বন্ধ রয়েছে। তবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ সকল কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে। বন্দর শ্রমিকরা আমদানি পণ্য আনলোড করেছে।
তবে খালাসকৃত পণ্য দেশের অভ্যন্তরে পরিবহন করতে না পারায় বাণিজ্য কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন।
বাংলাদেশ ট্রাক, কভার্ডভ্যান, প্রাইম মুভার পরিবহন মালিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব চৌধুরী জাফর আহমেদ বলেন, ইতিপূর্বে এসব দাবি নিয়ে সরকার পক্ষকে অবগত করা হয়েছে। তবে সেখান থেকে সাড়া না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে দাবি আদায়ে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে।