সোমবার বিকালে উপজেলার নরিনা গ্রাম থেকে ৬৫টি মৃত ঘুঘু ও সাতটি মৃত কবুতর উদ্ধার করা হয়।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার বন্যপ্রাণী আইনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে স্থানীয় বনবিভাগ।
স্থানীয়ভাবে বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা ‘দি বার্ড সেফটি হাউস’-এর চেয়ারম্যান মামুন বিশ্বাস বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর উপজেলার নরিনা গ্রামের খেয়া ঘাটের উত্তর দিকের একটি জমিতে এক কৃষক মাসকালাই আবাদের জন্য জমিতে বীজ বপন করেছেন। ওই বীজ বন্যপ্রাণীরা খেয়ে ফেললে আবাদে ক্ষতি হবে ভেবে তিনি বীজ বপনের সময় তাতে কীটনাশক মেশান। ওই কীটনাশক মেশানো বীজ খেয়েই ঘুঘু ও কবুতর মারা গেছে।
ঘুঘু ও কবুতর উদ্ধার প্রসঙ্গে মামুন বলেন, “সোমবার বিকালে ওই জমি, আশপাশের জমি এবং পাশের নদীতে ভাসমান অবস্থায় ৬৫টি মৃত ঘুঘু এবং সাতটি কবুতর উদ্ধার করেছি। কিছু অসুস্থ ঘুঘু লোকজন নিয়ে গেছে খাওয়ার জন্য।”
বিষয়টি রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা বন বিভাগের প্রতিনিধি রশিদুল হাসান বলেন, “বন্যপ্রাণী আইনে পাখি নিধন অপরাধ। মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আশা করছি ঘটনার তদন্তপূর্বক তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
শাহজাদপুর থানার ওসি সাঈদ মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অভিযোগটি পাওয়ার পর সাধারণ ডাইরিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।