সোমবার যশোর শহরের কুইন্স হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া চার শিশু ও তাদের মা সুস্থ আছেন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
লাক্সমিয়া খাতুন যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুড়া গ্রামের আবুল বাশার গাজী স্ত্রী।
আবুল বাশার জানান, ২০১৪ সালের জুন মাসে তিনি একই উপজেলার বাসুয়াড়ি ইউনিয়নের চাড়াভিটা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে লাক্সমিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর দীর্ঘদিন সন্তান না হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করেন তারা।
কোনো ফলাফল না পেয়ে সর্বশেষ শরাণাপন্ন হন যশোর মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক নার্গিস আক্তারের। চিকিৎসার এক পর্যায়ে পর অন্তঃসত্ত্বা হয় লাক্সমিয়া।
চিকিৎসক নার্গিস আক্তার বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে যমজ দুই ছেলে ও দুই মেয়ের দিয়েছেন লাক্সমিয়া।
“চিকিৎসার মাধ্যমে লাক্সমিয়ার সন্তান জন্ম দেওয়ায় বন্ধ্যাত্ব দূর হয়। বর্তমানে মা ও চার নবজাতক সুস্থ আছে।”
হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মিঠু সাহা বলেন, চারজন যমজ সন্তান এর আগে এ হাসপাতলে হয়নি। সবচেয়ে বড় কথা চারজনই সুস্থ রয়েছে।
“তাই এ আনন্দে ওই পরিবারের সকলের সঙ্গে সঙ্গে যারা সিজারের দায়িত্বে ছিলেন তাদের সকলকে মিষ্টিমুখ করিয়েছি।”