কক্সবাজারে সিনহা হত্যা মামলার তৃতীয় দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

কক্সবাজারে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় তৃতীয় দফার প্রথম দিনে সপ্তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Sept 2021, 05:05 AM
Updated : 20 Sept 2021, 05:05 AM

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, সোমবার সকাল ১০টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

এর আগে গত ২৩ থেকে ২৫ অগাস্ট মামলার প্রথম দফায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এতে সাক্ষ্য দেন মামলার বাদী ও সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস এবং ২ নম্বর সাক্ষী ঘটনার সময় সিনহার সঙ্গে একই গাড়িতে থাকা সঙ্গী সাহেদুল সিফাত।

পরে গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় চার দিনে আরও চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মামলায় সপ্তম সাক্ষীসহ আরও ৭৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে জানান পিপি ফরিদুল আলম।

সোমবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৫ আসামিকে প্রিজেন ভ্যান করে কড়া পুলিশ পাহারায় আদালতে আনা হয়।

পিপি ফরিদুল বলেন, গত ২৩ থেকে ২৫ অগাস্ট প্রথম দফায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনকে আদালত নোটিশ দেয়। ওই তিন দিনে মামলার বাদী ও ২ নম্বর সাক্ষী জবানবন্দি দেন। দ্বিতীয় দফায় গত ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর মামলায় আরও চারজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

“সোমবার সকাল ১০টায় থেকে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে সপ্তম সাক্ষী আব্দুল হামিদের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে তৃতীয় দফায় তিন দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আদালতে সাক্ষ্যদানের জন্য আরও তিনজন সাক্ষী উপস্থিত রয়েছেন।”

গত বছর ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত বছর ৫ অগাস্ট সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছড়া তদন্ত সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় লিয়াকত আলীকে। আদালত মামলার তদন্ত ভার দেয় র‍্যাবকে।

ঘটনার ছয় দিন পর ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ সাত পুলিশ সদস্য আত্মসমপর্ণ করেন।

এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

পরে র‍্যাব পুলিশের দায়ের মামলার তিন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টে দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানার সাবেক কনস্টেবল রুবেল শর্মাকে। সর্বশেষ গত ২৪ জুন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার সাবেক এএসআই সাগর দেব।

গত বছর ১৩ ডিসেম্বর র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

গত ২৭ জুন আদালত ১৫ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এতে সাক্ষী করা হয় ৮৩ জনকে।