পাটগ্রাম রেল স্টেশন থেকে শনিবার রাতে তাদেরে আটক করা হয় বলে পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক জানান।
এরা হলেন মিয়ানমারের মন্ডু জেলার কুরহালি থানার নয়াপাড়া গ্রামের ইলিয়াছ হোসেনের ছেলে আনস (২২) ও একই এলাকার ওসমান গণির মেয়ে সেতুফা বেগম (১৮)। তারা মামাতো-ফুফাতো ভাই-বোন বলে জানিয়েছেন।
এই দুই তরুণ-তরুণীর বরাত দিয়ে ওসি জানান, তারা ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আসেন এবং কক্সবাজারের টেকনাফের একটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে থাকতেন।
“দুইদিন আগে তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পথে ভারত হয়ে নেপালে আর এক স্বজজের কাছে যেতে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম ইউনিয়নে আসেন। দহগ্রাম দিয়ে তারা ভারতে প্রবেশ করে তারা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের হাতে আটক হন। পরে বিএসএফ তাদের মারধর করে শনিবার রাতে ফের বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়।”
ওসি আরও বলেন, রাতেই তারা পাটগ্রাম রেল স্টেশনে আসেন। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাদের আটক করে পাটগ্রাম পৌর মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইটকে খবর দেয়।
“মেয়র ওই দুইজনকে উদ্ধার করে পাটগ্রাম পৌরসভায় নিয়ে যান এবং থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানা হেফাজতে রাখে।”
মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট বলেন, “রেল স্টেশন থেকে শনিবার রাতে ওই দুই রোহিঙ্গা নাগরিককে স্থানীয়রা আটক করে আমাকে খবর দেয়। আমি তাদের পাটগ্রাম থানার ওসির কাছে হস্তান্তর করি।”
পাটগ্রাম থানার ওসি ওমর ফারুক আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তাদের আবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।