শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কে শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর পশ্চিম প্রান্তে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ পৌরসভার সুমন হাওলাদারের ছেলে সিয়াম হাওলাদার (১৫), জয়দেব দাসের ছেলে চয়ন দাস (১৬) ও বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের ছেলে রাব্বী ইসলাম (১৬)।
বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান জানান, এক সঙ্গে ছয়টি মোটরসাইকেল বরিশাল নগরী থেকে বাকেরগঞ্জের উদ্দেশে যাচ্ছিল।
“কীর্তনখোলা নদীর উপর অবস্থিত শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতু অতিক্রমকালে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান একটি মোটরসাইকেলে থাকা তিন জনের দুই জন। শের-ই বাংলা মেডিকেলে ভর্তির কিছুক্ষণ পর মারা যান রাব্বী।”
মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেওয়া রাতুল-রোহান নামের বাসটি আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আহমেদ ফাহাদ রাকা নামে এক ব্যক্তি জানান, সেতু থেকে নামার সময় সামনের বাসটিকে বেপরোয়া গতিতে অতিক্রম করছিল মোটরসাইকেলটি। এসময় বিপরীত দিক থেকে আরও একটি বাস চলে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে মোটরসাইকেল চালক।
মোটরসাইকেলের বহরে থাকা নিহতের বন্ধু রাকিব জানান, তারা সবাই একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। ছয়টি মোটরসাইকেলে তিন জন করে মোট ১৮ জন বন্ধু বাকেরগঞ্জ থেকে বরিশাল নগরীতে ঘুরতে এসেছিলেন।
সন্ধ্যায় বাকেরগঞ্জে ফেরার পথে পিছন থেকে একটি বাস সিয়াম, রাব্বি ও চয়নকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়।