আটককৃতরা হলেন উপজেলার জাহাজমারা ইউনিযনের বিরিবিরি গ্রামের সাখাওয়াত হোসেন (৪৫), নিঝুম দ্বীপের মদিনা গ্রামের শফিউল্লাহর ছেলে মো. হাসান(৩৫) ও চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ভণ্ডবিল গ্রামের নাহিদুল হক (৪৫)।
কোস্টগার্ডের হাতিয়া স্টেশন কমান্ডার এএসএম লুৎফর রহমান বলেন, “নিঝুম দ্বীপের সিডিএসপি বাজারের কাছে গোপন আস্তানায় বসে জলদস্যু হাসান বাহিনীর সদস্যরা আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার পরিকল্পনা করছে বলে খবর পেয়ে শুক্রবার ভোরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জলদস্যু ও কোস্টগার্ড সদস্যদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে বাহিনী প্রধান হাসানকে কোস্টগার্ড ধরে ফেলে। তবে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।”
হাসানের কাছ থেকে একটি বন্দুক ও দুটি গুলি উদ্ধার করা হয় বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা ছাড়াও আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিভিন্ন এলাকায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে।
জেলার পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, হাতিয়ার জাহাজমারা ইউনিয়নের বিরিবিরি গ্রামে একই সময় অভিযান চালিয়ে ২৫টি ধারালো অস্ত্রসহ সাখাওয়াত ও নাহিদুলকে আটক করে পুলিশ।
“পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা এসব অস্ত্র ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতা সৃষ্টির লক্ষ্যে আনা হয়েছে বলে স্বীকার করেছে।”