বুধবার আসামিদের উপস্থিতিতে বরিশাল জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ জেলা দায়েরা জজ আদালতের বিচারক টিএম মুসা এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- উজিরপুর পৌর শহরের জিয়াউল হক লালন মহুরী ও আটিপাড়া গ্রামের রিয়াদ সরদার।
যাবজ্জীবন প্রাপ্তরা হলেন- ইমরান হাওলাদার ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত লালনের ভাই মামুন হাওলাদার, বিপ্লব পাটোনী ও ওয়াসিম সরদার।
এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দশজনকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লস্কর নূরুল হক মামলার বরাতে বলেন, সোহাগ সেরনিয়াবাত উপজেলা কলেজ গেট এলাকায় একটি পোশাকের দোকান চালাতেন। ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে বন্ধু সাইফুলকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন সোহাগ।
ভিআইপি রোডের হাসি ভিলার সামনে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা সোহাগ ও সাইফুলকে কুপিয়ে জখম করে।পরে রক্তাক্ত অবস্থায় সোহাগকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনার পরদিন (৫ সেপ্টেম্বর) উজিরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের মামা খোরশেদ আলম নান্টু। তদন্ত শেষে একই বছরের ২২ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সন্ত্রাসী লালনের সঙ্গে পূর্ব শক্রতা ছিল সোহাগের। তবে রিয়াদ ও সোহাগ ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। একে অপরের বাড়িতে যাতায়াত ছিল তাদের। এর প্রেক্ষিতে রিয়াদের স্ত্রীর সঙ্গে সোহাগের পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে আগের সংসার ছেড়ে সোহাগের সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করে রিয়াদের স্ত্রী। এর জের ধরেই লালন ও রিয়াদ পরিকল্পিতভাবে সোহাগকে হত্যা করে।