চাঁদপুরে পুকুরে মুক্তা চাষে স্বপ্ন ধরার আশা

চাঁদপুরে পুকুরে মাছের পাশাপাশি মুক্তা চাষ করে আশা পূরণের স্বপ্ন দেখছেন তরুণরা।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Sept 2021, 09:10 AM
Updated : 14 Sept 2021, 09:51 AM

জেলার মতলব উত্তর উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মাছ চাষি কৃষ্ণ চন্দ্রকে দেখে আগ্রহী হয়েছেন তারা।

কৃষ্ণ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১০ সাল থেকে তিনি মাছ চাষ করছেন। সম্প্রতি তিনি মাছের পাশাপাশি একই পুকুরে মুক্তার চাষ শুরু করেছেন। প্রায় চার মাস আগে তিনি গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে ২০ হাজার ঝিনুক সংগ্রহ করেন।

“১০ থেকে ১২ মাসের মধ্যে ঝিনুকের ভেতর মুক্তা হয়। বর্তমানে আমার ঝিনুকে মুক্তার লেয়ার খুব ভাল পর্যায়ে রয়েছে।”

২০ হাজার ঝিনুক চাষে তার প্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এর মধ্যে পাঁচ হাজার ঝিনুক নষ্ট হয়ে গেছে।

“তবু বাকি যা রয়েছে তাতে নির্দিষ্ট সময় শেষে আমার ৪০ লাখ টাকার মুনাফা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মুক্তা উৎপন্ন হতে প্রায় দুই বছর সময় লাগে।”

বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতিটি মুক্তা আড়াইশ থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে বলে জানান কৃষ্ণ।

কৃষ্ণের দেখাদেখি উৎসাহী হয়েছেন এলাকার অনেক তরুণ।

ওই এলকার হানিফ মিয়া নামে এক তরুণ বলেন, “মাছের পাশাপাশি মুক্তা চাষে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব। তাই প্রায় সময়ই কৃষ্ণদার কাছে এসে তার চাষপদ্ধতি দেখছি। তার কাছ থেকে অনেক বিষয় বোঝার চেষ্টা করছি, যাতে করে আগামীতে আমিও করতে পারি।”

আবুল কালাম নামে আরেক তরুণ বলেন, “মুক্তা চাষে বাড়তি কোনো খাবার দিতে হয় না ঝিনুককে। মাছের খাবার থেকেই তারা তাদের খাবার সংগ্রহ করে থাকে। তাই খরচ কম। লাভ বেশি। কৃষ্ণদার মত আমারও ভবিষ্যতে পুকুরে মুক্তা চাষের ইচ্ছা আছে।”
এ জেলায় মাছের পাশাপাশি কৃষ্ণই প্রথম মুক্তা চাষ শুরু করছেন বলে জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান।

তিনি বলেন, “কৃষ্ণর কাজে মৎস্য বিভাগ থেকে আমরা কারিগরি সহায়তা দিয়ে আসছি। আশা করছি তিনি সফল হবেন। কৃষ্ণ সফল হলে জেলার অন্যান্য মাছ চাষিদেরও সাথী ফসল হিসেবে মুক্তা চাষে উদ্বুদ্ধ করা হবে।