রোববার সকালে মাটিরাঙা-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপমারা এলাকার একটি সেতুর নিচে লাশ উদ্বার করা হয় বলে মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মো. আলী জানান।
একসময় বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের (খালেকুজ্জামান) খাগড়াছড়ি জেলার সমন্বয়ক ছিলেন টুটুল। দলে একাধিক ভাঙ্গনের পর সর্বশেষ তিনি কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের খাগড়াছড়ি জেলার সমন্বয়ক ছিলেন।
এই সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা বেলাল চৌধুরী ফেইসবুকে এক বিবৃতিতে বলেন, কমরেড টুটুল গত (শনিবার) রাত ৮টা থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি মটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন।
টুটুলের ঘনিষ্টজন স্থানীয় ব্যবসায়ী পলাশ চৌধুরী জানান, শনিবার দিনের বেলা টুটুল তার আরেক রাজনৈতিক সহকর্মী ডা. সুশান্ত বড়ুয়াকে সঙ্গে নিয়ে নিজের মটরসাইকেলে করে খাগড়াছড়ি শহরে যান। সন্ধ্যার দিকে তিনি একা মাটিরাঙার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু অনেক রাতেও বাসায় ফেরেননি।
জাহেদ আহমেদ টুটুলের ‘আকস্মিক মৃত্যুতে’ গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী।
এক বিবৃতিতে তিনি কমরেড টুটুলের শোকাহত পরিবার ও বন্ধু-স্বজনসহ রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।
কমরেড টুটুলের রাজনৈতিক সহকর্মী শাহাদাত হোসেন বলেন, টুটুল পেশায় কৃষিজীবি হলেও পুরোদমে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এছাড়া তিনি এলাকায় সমাজকল্যাণমূলক কাজেও জড়িত ছিলেন। মাটিরাঙ্গায় তার উদ্যোগে শিশুদের জন্য একটি স্কুল পরিচালিত হয়। টুনি আহমেদ নামে তার একটি মেয়ে আছে।
মাটিরাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।