বুধবার সকালে ওই নারীর বাবা ফজলুর রহমান বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিরাজগঞ্জ পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানোয়ার হোসেন জানান।
আসামিরা হলেন- সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার নান্দিনা মধু গ্রামের বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম, তার বাবা আলাউদ্দিন মণ্ডল ও মা রেহেনা খাতুন।
কনস্টেবল রাশেদুল ইসলাম বর্তমানে বান্দরবান নতুন পুলিশ লাইনসে কর্মরত রয়েছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে রাশেদুল ইসলাম ৮ লাখ টাকা যৌতুক নিয়ে পারিবারিকভাবে একই এলাকার পারুলকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে একটি সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রাশেদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা পারুলকে নির্যাতন করে আসছিল।
গত ২৯ অগাস্ট রাশেদুল ছুটিতে বাড়ি গিয়ে পারুলের কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। না হলে দ্বিতীয় বিয়ে করবে বলে কাছে স্ত্রীর লিখিত অনুমতি চায়। এতে পারুল রাজি না হওয়ায় তাকে মারধর করা হয়।
পরে স্থানীয়রা পারুলকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কামারখন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। ঘটনার দিনই পারুলের বাবা থানায় লিখিত অভিযোগও করেছিল।
কামারখন্দ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এম এম সুমনুল হক বলেন, ওই সময় পারুলকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল।
“তার মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।”
কামারখন্দ থানার ওসি রাকিবুল হুদা জানান, পারুলকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়ার পর ওই সময় হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।