স্থানীয় তিনজনের স্বাক্ষরে গত ২৩ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালেয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব বরাবর এই আবেদন করা হয়।
ফখরুল আহমদ মতছিনের বিরুদ্ধে নিয়ম না মেনে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি, দণ্ডিত আসামি হয়েও বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতির দায়িত্ব পালন এবং প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তোলা হয়।
বিষয়টি তদন্ত করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, ফখরুল আহমদ মতছিন বিদ্যালয়ের ১৩টি গাছ বিক্রির আগে জেলা প্রশাসন, বনবিভাগ কিংবা শিক্ষা বিভাগের অনুমতি নেননি এবং ওই গাছ বিক্রির টাকা নির্দিষ্ট খাতে জমা করেননি।
আরেক অভিযোগে বলা হয়, ফখরুল ২০১৭ সালে দুইটি এবং ২০১৮ সালে একটি মামলায় দণ্ডিত হয়েও বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন, যা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা সংক্রান্ত প্রবিধানমালার পরিপন্থি।
সর্বশেষ অভিযোগ হলো অর্থ আত্মসাতের; যেখানে বলা হয়, তিনি বিদ্যালয়ের সংস্কার কাজের অর্থ ব্যয়ে অনিয়ম করেছেন; বার্ষিক ক্রীড়া অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নাস্তার টাকা বাবদ খরচ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং কলেজ শখার আয় থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
এই বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেটের চেয়ারম্যান রমা বিজয় সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিষয়টি তদন্তের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি আদেশ এসেছে। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগে দেওকলস দ্বিপাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শুভাকাঙ্ক্ষী ও অভিভাবক হিসেবে স্বাক্ষর করেছেন মো. আব্দুল সালাম, এম এম ইসলাম খানসহ তিনজন।