এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকেলে বন্যার আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে প্লাবিত এলাকার খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের কথা জানিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানায়, জেলার চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের নতুন নতুন এলকা প্লাবিত হয়ে নড়িয়া উপজেলায় ৬টি, জাজিরায় ৯টি ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ৭টি ইউনিয়নের শতাধিক গ্রাম আংশিক প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়েছে নিম্নাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ। তলিয়ে গেয়ে বসতবাড়িসহ রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘের, ফসলি জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব জানান, অব্যাহত পানি বৃদ্ধির কারণে পদ্মার ভাঙনে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নের দেড় শতাধিক বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন আতংকে পদ্মা তীরবর্তী আরও শতাধিক পরিবার তাদের ঘর নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিচ্ছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৬০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে নড়িয়া উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে এবং নড়িয়া, জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার ৫০টি বিদ্যালয় মাঠে পানি প্রবেশ করেছে।
বুধবা থেকে জেলার সকল পানিবন্দি মানুষের মাঝে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।