সোমবার দুপুরে তিনি ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। সরকারের পক্ষ থেকে আগে জানানোর কারণে পরিবারের লোকজন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
স্বজনরা জানান, ‘মানসিক রোগী’ আমিনা বেওয়া (৮০) ধুনটের ছোট চাপড়া গ্রামের বাসিন্দা। ১৯৯৮ সালে তিনি হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যান।
আমিনার মেজ ছেলে ফটিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার মা `মানসিক রোগী’ ছিলেন। বাড়িতে থাকতেন না। পাগলের মতো ঘুরে বেড়াতেন।
“অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। ভেবেছিলাম মা হয়ত-বা মারা গেছে। মাঝে মাঝেই মা নিরুদ্দেশ হতো। কীভাবে নেপালে গেল বুঝতে পারিনি। পাগল এমন মানুষ সীমান্ত পাড় হলো কীভাবে তাও জানি না।”
আমিনা বেওয়ার সঙ্গে যখন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের কথা হয় তিনি তখন বাড়ির পথে মাইক্রোবাসে গাজীপুর। ভাঙা ভাঙা কথায় তিনি বলেন, “ভালো আছি। খুশি আমি।”
সঙ্গে থাকা ছেলে ফটিক বলেন, “হাই কমিশনের মাধ্যমে আজ দুপুর ১টায় নেপাল থেকে তিনি ঢাকা বিমানবন্দরে আসেন। সরকার থেকে আগেই জানানো হয়েছিল আমাদের।”
আমিনার ছোট বোন ধুনটের ছোট চাপড়া গ্রামের বাসিন্দা আম্বিয়া
বলেন, “আল্লাহ সরকারকে ভালো করুক। সরকারের কারণে বোনকে পেলাম।”
নাতি রাজু বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ না হলে দাদিকে খুঁজে পেতাম না। ফেইসবুকের সুবাদেই আজ দাদিকে পেলাম।”
রাজু জানান, শুক্রবারে ভিডিও কলে বড় ছেলে, মেজ ছেলে, ছোট ছেলের সঙ্গে কথা হয়। সেখানে নেপালি অধিবাসীও ছিলেন। ভিডিও কলে আশ্রয়দাতা নেপালীদের ধন্যবাদ জানানো হয়।
বড় ছেলের স্ত্রী ফাতেমা বলেন, “আমার শাশুড়ি মানসিক রোগী ছিলেন। পাগলের মত ঘুরত। পাবনা মানসিক হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল।”