কিশোরগঞ্জের নারী ও শিশুনির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি এমএ আফজাল জানান, ও ঘটনায় ওই নারী আদালতে মামলা করেছেন। মামলা গ্রহণ করে বিচারক কিরণ শংকর রায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের আদেশ দিয়েছে।
সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য বকুল মিয়ার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তিনি ইউনিয়নের বেত্রাহটি মীর পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গৃহবধূর মা বলেন, পাঁচ মাস আগে তার মেয়ের বিয়ে হয়। স্বামী ভরণ-পোষণ না দেওয়ায় মেয়েকে নিজের কাছে রাখেন এই মা।
“ইউপি সদস্য বকুল মিয়া আমার মেয়েকে রেশন কার্ড দিতে চান। তাছাড়া মাটি কাটার চাকরির লোভ দেখিয়ে দুই দফায় ৩১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। গত ১৮ অগাস্ট মেয়েকে ডেকে নিয়ে বকুল ধর্ষণ করেন। মেয়ে এ ঘটনায় মামলা করলে বকুল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করেন।”
পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, “তার রক্তপাত হয়েছে। আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে গর্ভের বাচ্চার ক্ষতি হয়েছে কিনা।”
ইউপি সদস্য বকুল মিয়াকে ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ পিবিআইর পরিদর্শক রমিজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ তদন্ত কার্যক্রম চলছে। স্থানীয়দের জিঞ্জাসাবাদ করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।