রোববার বিকালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান স্বাক্ষরিত এক আদেশে এই ঘোষণার কথা জানানো হয়।
আদেশে বলা হয়, সোমবার সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীন জনসভা করার ঘোষণা দেন। একই সময়ে পৌরসভায় আলোচনা সভা ও শোভাযাত্রার ঘোষণা দেন মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সোহেল।
এই পরিস্থিতিতে পৌর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের সভা-সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা এবং রাজনৈতিক প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে আদেশে বলা হয়।
এদিকে, রোববার বিকালে জেলা শহর মাইজদীতে মিছিল শোভাযাত্রা নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
“তারা আমাদের কর্মসূচিকে বানচাল করা জন্য ইচ্ছে করে গায়ে পড়ে ভেজাল করতে চায়।”
এ বিষয়ে জানতে নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র সহিদ উল্যাহ খান সেহেল বলেন, “আমরা কারো সাথে বিরোধে জড়াইনি। কে বা কারা শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে জানি না।”
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, “আমাদের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় পুলিশ লাঠিচর্জ করেছে। আমরা এ ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই।”
নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে। নিয়মত পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।