হবিগঞ্জে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’, আদালতে আসামির স্বীকারোক্তি

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নৌকা ভ্রমণে যাওয়া এক নববধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Sept 2021, 04:58 PM
Updated : 3 Sept 2021, 04:58 PM

শুক্রবার হবিগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে জবানবন্দি দেন মিঠু মিয়া।

এছাড়া মামলার আরও দুই আসামি সোলাইমান রনি ও শুভ মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে বলে লাখাই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মহিউদ্দিন সুমন জানিয়েছেন।

পরিদর্শক মহিউদ্দিন সুমন জানান, শুক্রবার বিকালে গ্রেপ্তার সোলাইমান রনি এবং শুভকে আমলি আদালত ৭ -এ হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।

তিনি আরও বলেন, “জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোহাম্মদ সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে মিঠু মিয়া ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।”

গত ২৫ অগাস্ট লাখাই উপজেলার টিক্কাপুড়া হাওরে স্বামীর সঙ্গে নৌভ্রমণে যাওয়া এক নববধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ওই অভিযোগে পুলিশ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বৃহস্পতিবার ওই নববধূর স্বামী বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত ২৫ অগাস্ট দুপুরে লাখাইয়ের মোড়াকড়ি গ্রামের এক যুবক তার সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী ও এক বন্ধুসহ টিক্কাপুড়া হাওরে নৌভ্রমণে যান।

“সেখানে অপর একটি নৌকাযোগে আট যুবক তাদের নৌকায় হানা দেয়। পরে ওই যুবক ও তার বন্ধুকে মারধর করে তার স্ত্রীকে তারা ধর্ষণ করে।”

এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাদের নগ্ন করে ভিডিও ধারণ করে এবং পরে নগ্ন ছবি ও ভিডিও দেখিয়ে নয় লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

পরিদর্শক মহিউদ্দিন সুমন জানান, আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মামলা রেকর্ড করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছে।

এ মামলায় র‌্যাব এজাহারভুক্ত আসামি মিঠু মিয়া ও সোলায়মান রনিকে গ্রেপ্তার করেছে। আর শুভ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে লাখাই থানা পুলিশ।