সদর থানার ওসি শওকত কবির বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। তাতে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিশুটি আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। তাই এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি।
শুক্রবার সকালে নড়াইল পৌরসভার ভওয়াখালী এলাকায় শিশুটির মৃত্যুর পর তার মামা হাফিজুর রহমান ও মামি তানিয়া খানমকে জিজ্ঞাগাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছিলেন।
শিশুর বাবা-মা ঢাকায় থাকেন। শিশুটি সম্প্রতি মামাবাড়ি বেড়াতে আসে। সকালে তাকে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।
সে সময় হাসপাতালের চিকিৎসক হাফিজুর রহমান মুক্ত বলেন,“ শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে শিশুটিকে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বজনরা। স্বজনরা জানান শিশুটির জ্বর হয়েছে। কিন্তু আলামত দেখে সন্দেহ হয়। তাৎক্ষণিকভাবে থানায় জানালে পুলিশ আসে।
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়।”
তবে সে সময় তিনি মৃত্যুর কারণ বলতে পারেননি। সন্দেহ হওয়ায় লাশ সে সময় ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।