লিমন সাংবাদিকদের জানান, পরিবারের পছন্দে তিনি বিয়ে করছেন। বৃহস্পতিবার তার গায়ে হলুদ হয়েছে।
কনে যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার নওপাড়া এলাকার টিটু মোল্লার মেয়ে রাবেয়া বশরী। কনের বাড়িতেই শুক্রবার বিয়ের আয়োজন করা হয়েছে।
২০১১ সালের ২৩ মার্চ এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার সময় লিমনের পা হারানোর ঘটনা দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দেয়।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের ইঁদরে বাড়ি গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে লিমন এখন সাভার গণবিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিভাগের প্রভাষক।
কনে রাবেয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “লিমন সীমাহীন সংগ্রম করে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তুলেছেন। দাম্পত্য জীবনেও তিনি দায়িত্বশীল হবেন। তাই এ বিয়েতে রাজি হয়েছি।”
এক অভিযানে লিমন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তাকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে লিমনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছিল র্যাব। ব্যাপক সমালোচনার মধ্যে ২০১৩ সালে ২৯ জুলাই এবং ২০১৪ সালের ১৬ অক্টোবর আদালত র্যাবের করা মামলা দুটি থেকে লিমনকে অব্যহতি দেয়।
তবে র্যাবের বিরুদ্ধে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগমের দায়ের করা মামলাটি ঝালকাঠি আদালতে চলমান রয়েছে।
লিমন বলেন, “সব সময় গরিব বাবা-মাকে সাহস দিয়েছি। মানুষের সহযোগিতায় পড়াশুনা করেছি। আজ আমি স্বাবলম্বী। আমার এই জীবন-যুদ্ধের পেছনে মানবাধিকার সংগঠন এবং মিডিয়ার বড় অবদান রয়েছে।”