হবিগঞ্জে হাওরে নৌকা আটকে নববধূকে ‘দলবেঁধে ধর্ষণ’

হবিগঞ্জে হাওরে নৌ ভ্রমণে যাওয়া নববধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Sept 2021, 11:39 AM
Updated : 2 Sept 2021, 04:01 PM

বৃহস্পতিবার লাখাই থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

“অন্য আসামিদেরকে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই তাদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

গ্রেপ্তাররা হলেন, লাখাই উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), ইকবাল হোসেনের ছেলে সোলায়মান রনি (২২) ও রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)। সোলায়মান রনি লাখাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বলে স্থানীয়রা জানায়।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, লাখাই উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে মুছা মিয়া (২৬), ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), পাতা মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (২২), বকুল মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৩), মিজান মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৫), ইকবাল হোসেনের ছেলে সোলায়মান রনি (২২), ওয়াহাব আলীর ছেলে মুছা মিয়া (২০) এবং রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯)।

মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক জিয়াউদ্দিন মাহমুদ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এফআইয়ার করতে লাখাই থানার ওসিকে নির্দেশ দেন বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী হাফিজুল ইসলাম।

তিনি জানান, এক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। ২৫ অগাস্ট দুপুরে বাড়ির পাশের ওই হাওরে তারা নৌকাভ্রমণে যান। নৌকায় নবদম্পতি, তাদের এক বন্ধু ও মাঝি ছিলেন।

সে সময় আরেকটি নৌকায় করে গ্রামের ৮ যুবক তাদের নৌকার গতি রোধ করে। তাদের নৌকায় উঠে ওই যুবকরা তাকে ও তার বন্ধুকে মারধর করে আটকে রাখে। তার স্ত্রীকে ওই নৌকায় তুলে ‘ধর্ষণ করে’ মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে রাখা হয়।

ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন যুবকরা। এ কারণে বিষয়টি এত দিন গোপন রেখেছিলেন তিনি।

তবে ঘটনার চার দিন পর ওই যুবকরা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে টাকা দাবি করে বলে জানান নববধূর স্বামী। টাকা না দেওয়ায় এলাকার কয়েকজনের কাছে ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয় ওই যুবকরা। এছাড়া তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থাও খারাপ হতে থাকায় তিনি তাকে বুধবার হাসপাতালে ভর্তি করেন।