বৃহস্পতিবার বরগুনার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত সিদ্দিক মাঝির মেয়ে হালিমা বেগম।
মামলায় সদর উপজেলার ১০ নম্বর নলটোনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কেএম সফিকুজ্জামান মাহফুজ ছাড়াও ২৫ জন আসামি রয়েছেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৬ অক্টোবরে মধ্যে ময়নাতদন্তসহ সুরাতহাল প্রতিবেদন আদালতে জমা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য বিচারিক হাকিম মাহবুব আলম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদীর বাবা সিদ্দিক মাঝির সঙ্গে চেয়ারম্যান কেএম সফিকুজ্জামান মাহফুজের চাচা শ্বশুরের আর্থিক বিরোধ ছিল।
বাদী বলেন, “পাঁচ দিন আগে আমার বাবাকে ধরে নিয়ে চার ঘণ্টা নির্যাতন করে ছেড়ে দেয় আসামিরা। ওইদিন দুপুর ১২টায় আমার বাবা ফোন দিয়ে বলেন - ওরা আমাকে মেরে ফেলল; আমাকে বাঁচা। আমরা ছুটে গিয়ে তাকে রাস্তার উপর অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে ২টা ৪০ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি করি; ৩টার দিকে তিনি মারা যান।”
অভিযোগ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান কে এম সফিকুজ্জামান মাহফুজ বলেন, সিদ্দিক মাঝির মেয়েরা নির্বাচনে হেরে যাওয়া প্রতিপক্ষের শেখানো কথা বলছে।
“মূলত আমার চাচা শ্বশুর টাকা পাবে তার কাছে। চাচা শ্বশুর আমার কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ দিলে সিদ্দিক সময় নিয়েছে। আমি এলাকায় ছিলাম না; কী হয়েছে বলতে পারব না।”
সিদ্দিক মাঝি নলটোনা ইউনিয়নের শিয়ালিয়া গ্রামের আতাহার মিয়ার ছেলে।