পটুয়াখালী থেকে আনা মাছটি বুধবার নাটোর শহরতলীর দিয়াড়ভিটা মোড়ে তোলা হলে দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়।
প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা মাছটির পিঠে পালের মতো পাখনা রয়েছে। মুখের সামনে আছে প্রায় দেড় ফুট লম্বা শুঁড়। বর্ণ ধূসর।
জেলা শহরের মাছ বিক্রেতা সাগর হোসেন জানান, প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা ৪৭ কেজি ওজনের মাছটি বুধবার সকালে তিনি শহরের ভোলার আড়ত থেকে ১৮ হাজার টাকায় কিনে নেন।
সাগর হোসেন বলেন, “পুরো মাছটি কেনার ক্রেতা না পাওয়ায় আমি ৫০০ টাকা কেজি দরে মাছটি কেটে বিক্রি করি। এতে মাছটি বিক্রি হয়েছে ২২ হাজার টাকায়।”
নাটোর নিচা বাজার মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে বিক্রির জন্য নাটোর শহরের ভোলার আড়তে মাছটি নিয়ে আসা হয়। আড়তে মাছটি বিক্রি না হওয়ায় মাছ বিক্রেতা সাগরের কাছে মাছটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।
আড়তদার ভোলা উদ্দিন বলেন, এই মাছটি সমুদ্রের সবচেয়ে দ্রুতগতির মাছ; খেতে সুস্বাদু। তবে আকৃতি বড় হওয়ায় মাছটি প্যাকেট করে নাটোরে নিয়ে আসা কষ্টকর। তবুও নাটোরের মানুষকে দেখানোর জন্য ও খাওয়ানোর জন্যিএ ধরনের তিনটি মাছ তারা সংগ্রহ করেছেন।
অপরিচিত হওয়ায় অনেকেই মাছটি কিনতে চাচ্ছেন না; তবে একবার খেলে তিনি আবার মাছটি কিনবেন বলে তিনি মনে করেন।