ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সন্তোষ কুমার জানান, গোয়ালন্দ পয়েন্টে গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানি বেড়েছে ৩ সেন্টিমিটার। বর্তমানে এই নদীর পানির উচ্চতা ৯ দশমিক ১৮ মিটার; যা বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, “গত ১৫ দিন ধরে পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপরে রয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবনের পাশাপাশি মধুমতি, আড়িয়াল খা এবং পদ্মার তীরবর্তী বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন বসতভিটা, ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও গাছপালা বিলীন হচ্ছে।
তিনি বলেন, “মধুমতির ভাঙন প্রবল এলাকায় অস্থায়ী বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। আমরা এই নদীতে স্থায়ী বাধ দেওয়ার জন্য প্রকল্প তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। সেটি অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।”
এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় সরকারিভাবে ৫০ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিনিয়ত নগদ অর্থ্ ও শিশু খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে বলে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানিয়েছেন।
মধুখালী উপজেলা চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকেই তার উপজেলার কামারখালী এলাকায় বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের বাড়ি যাওয়ার একমাত্র সড়কটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া এ উপজেলার পাঁটটি গ্রাম মধুমতি নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদ বলেন, মধুমতি নদীর তীরবর্তী এ উপজেলার পাচুরিয়া ও গোপালপুর ইউনিয়নের সাতটি গ্রামে ভাঙছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে গোপালপুরর বাসতলা সড়ক; হুমকির মুখে পড়েছে দুইটি স্কুলসহ অসংখ্য বসতভিটা।