রোববার কুমিল্লার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মাসুদুর রহমানের আদালতে এই মামলা দয়ের করেন মো. সাইফুল খাঁন (৩৭) নামে কুমিল্লা নগরীর এক গ্রাহক।
কুমিল্লার ৩৯ জন গ্রাহকের পক্ষে চার কোটি টাকা দাবি করে তিনি এ মামলা করেছেন।
বিচারক অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, কর্মকর্তা আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার ও কাওসার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে বিভিন্ন সময় পণ্য ক্রয় করার জন্য ই-অরেঞ্জকে অর্থ প্রদান করেন এই গ্রাহকরা। গত ১৫ মে থেকে নির্দিষ্ট সময়ের পরও তারা গ্রাহকদের কোনো পণ্য সরবরাহ করেনি।
এরপর থেকে ফেইসবুকে নোটিশের মাধ্যমে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের পণ্য সরবরাহে আশ্বাস দেয়; কিন্তু তারা পণ্য সরবরাহ না করে দেশে প্রায় এক লাখ গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
আত্মসাৎ করা এ টাকার মধ্যে কুমিল্লার ৩৯ জন গ্রাহকের প্রায় চার কোটি টাকা রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এ এফ মজুমদার নোমান বলেন, “ই-অরেঞ্জ সারা দেশে লাখ লাখ গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা প্রতারিত গ্রাহকদের টাকা ফেরত চেয়ে আদালতে মামলা করেছি, আশ করি ন্যায় বিচার পাব।”
একই অভিযাগে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতেও সোনিয়া মেহজাবিন এবং মাসুকুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: