জেলা শহরে অবস্থিত ওই জমির মালিক দাবি করে পারুল বেগম নামের এক নারী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পদাক ওমর ফারুক পাঙ্কুর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেছেন।
পারুল শরীয়তপুর জেলা শহরের মৃত আব্দুল গণি সিকদারের স্ত্রী।
পারুল জানান, ২০০৪ সালে স্থানীয় সন্তোষ চন্দ্র ঘোষ নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে জেলা শহরে এক শতাংশ জমি কেনেন তিনি। পরে ওই জায়গায় তিনি দোকান নির্মাণ করে তা ভাড়া দেন। সম্প্রতি তিনি তার পুরানো দোকানগুলো ভেঙে সেখানে নতুন করে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন।
তিনি বলেন, “ভবন নির্মাণের কাজ চলার সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পদাক শরীয়তপুর সদর উপজেলার বাঘিয়া এলাকার ইদ্রস আলী হাওলাদারের ছেলে পাঙ্কু আমার জমি দখল করে নেয়। পরে ওই জায়গায় তিনি পাকা ঘর নির্মাণ করতে শুরু করেন।”
পারুলের বড় ছেলে মাহবুবুর রহমান সিকদার বলেন, “আমরা দীর্ঘ ১৭/১৮ বছর আগে এ জায়গা কিনে সেখানে দোকান ভাড়া দিয়ে আসছি। বর্তমানে ছাত্রলীগ নেতা পাঙ্কু আমাদের জায়গা করে দখল করে নিয়েছে।”
পারুলের আরেক ছেলে শহীদুল ইসলাম সিকদার বলেন, পাঙ্কু তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ১২ ফুট লম্বা আর ৭ ফুট চওড়া জায়গাটি দখল করে নিয়েছে। পালং থানার ওসি কাজ বন্ধ করার কথা বললেও সে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওমর ফারুক পাঙ্কু বলেন, “আমি অন্যের জায়গা দখল করিনি। বরং পারুল বেগম আমার জায়গা দখলের পায়তারা করছে। আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য এ অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
জমির কাগজপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে জানতে পালং থানার ওসি আক্তার হোসেন ও সার্কেল এসপির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন এ ছাত্রলীগ নেতা।
পালং বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল ছালাম বেপারী বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমাদের বণিক সমিতির কাছে অভিযোগ করেছিলেন পারুল বেগম।
“তবে পালং থানার ওসি দুই পক্ষেকে থানায় ডাকায় আমরা বিষয়টি নিয়ে আর আগাইনি। তবে জায়গাটি পারুল বেগম ও তার স্বামী মৃত আবদুল গনি শিকদারের বলে আমরা জানি।”
শরীয়তপুর পৌরসভার ১ ওর্য়াডের কাউন্সিলর ও পৌরসভা যুবলীগের সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর বেপারী বলেন, “পারুল বিষয়টি নিয়ে শরীয়তপুর- ১ আসনের এমপি ইকবাল হোসেন অপুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে বিষয়টি সুরাহার জন্য তিনি আমাকে দায়িত্ব দেন। আমি উভয় পক্ষকে ডেকে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছিলাম; কিন্তু কোনো পক্ষই মানছে না।“
এ বিষয়ে পালং মডেল থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, তিনি উভয় পক্ষের অভিযোগ শুনেছেন । দু পক্ষকেই তাদের জমির কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলা হয়েছে।